সিরাজগঞ্জে গো - খাদ্যের দাম চড়া বিপাকে কৃষকসিরাজগঞ্জে গো - খাদ্যের দাম চড়া বিপাকে কৃষক

ফারুক আহমেদ সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গাসহ তিনটি উপজেলায় হু হু করে বাড়ছে গো – খাদ্যের অন্যতম উপাদান খড়। গোল – খাদ্যের চড়া দামে বিপাকে পড়েছে কৃষক সহজ গরুর বেপারিরা। বর্তমানে প্রতি মণ খড় বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা আরও খড়ের পালা বিক্রি হচ্ছে ১০ -১৫ হাজার পালা বুঝে তার চেয়ে বেশি । অনেক ব্যবসায়ী অন্য ব্যবসায়ী অন্য ব্যবসা বাদ দিয়ে নতুন করে খড়ের ব্যবসা শুরু করেছেন। ইতি পূর্বে খড়ের বাজার এমন চড়া দাম হয়নি বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কৃষি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে গোল – খাদ্যের অনেক অভাব। বিভিন্ন ব্রি -ধান তুলনামূলকভাবে উঁচু হয় কম। আবার ধান মাড়াইয়ে শ্রমিক অভাব ও খরচ বাচাতে আধুনিক যন্ত্র্রপাতি ব্যবহার অনেকাংশেই দায়ী। এবারের বন্যায় কৃষি খাতের ব্যাপক ক্ষতির ফলে গোল – খাদ্যের অভাব হয়েছে। অনেক কৃষক গরু পালনের প্রতি অনীহা প্রকাশ করেছেন। গরু খামারিদের অভিযোগ, অনেক স্বাস্থ্যবান গরুর স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সলঙ্গা আমশড়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম, মাছের, মোকছেদ, জুন্ট জানান, গো – খাদ্য খড়ের অভাবে আমাদের মোটাতাজার গরুগুলি খড়ের অভাবে কমে করে খড় দেওয়ার কারণে গরু শুকিয়ে যাচ্ছে। তাড়াতে রানি দিঘি গ্রামের শিপয়নকে জঙ্গলের বেরাটি কেটে গরুকে খাওয়াচ্ছেন।
উল্লাপাড়া বনবাড়িয়া গ্রামের শাজাহান আলী বলেন, গো – খাদ্য খড়ের অভাবে আমার ৩টি গরুকে ডোবার পানির মধ্যে কচুরি খাওয়াচ্ছি
আঙ্গারু গ্রামের খড়বিক্রিতা আলহাজ আলী জানান, প্রতি আটি খড়ের মূল্য ১৩ টাকা করে কিনে খরচ সহ ১৫ টাকায় বিক্রি করছি। তাই এবারে খড়ের বাজার অনেক বেশি চড়া।
রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার জানান, পশু পালন বৃদ্ধি সহ এবারের বন্যার কারণে গো – খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে এ সংকট থাকবেনা বলে আশা করছি। বেশি দামের আশায় আব্দুস সবুরকে তার খড়ের পালা ভেঙ্গে ছোট করে মেরামত করতে দেখা যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *