সোলার প্লান্টে স্বল্প খরচে সেচ সুবিধা, মহাখুশি কৃষকরাসোলার প্লান্টে স্বল্প খরচে সেচ সুবিধা, মহাখুশি কৃষকরা

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় চেল্লাখালী নদীর উপর নির্মিত রাবার ড্যামের উজানে হাইড্রোলিক স্ট্রাকচারের উপর সোলার ইরিগেশন পাম্পিং সিস্টেমে ঐ এলাকার প্রায় হাজারো কৃষকের মুখে এখন হাসি ফুটেছে। কৃষকরা অল্প খরচে এই সুবিধা পাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

উপজেলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নে চেল্লাখালী নদীর উপর জলবায়ু পরিবর্তনে কৃষি উৎপাদনে ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসি ১৪ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করে রাবার ড্যাম । এই রাবার ড্যাম বা বাঁধের মাধ্যমে সেচের আওতায় তিন হাজার একর অনাবাদি জমি আবাদ করছে কৃষকরা। তারই উজানে চেল্লাখালী নদীর উপর এক কোটি ৩৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় হাইড্রোলিক স্ট্রাকচারের উপর ৫ কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন পরীক্ষামূলক সোলার ইরিগেশন পাম্পিং সিস্টেম। সোলার পাম্প ও রাবার ড্যামের জমাকৃত ভূ-উপরিয়স্ত পানির কারণে এই এলাকার নতুন করে আরো কৃষক সেচ সুবিধা পেয়ে আসছে। প্রকল্পটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে বাড়তি আরো একহাজার জমি আবাদের আওতায় আসবে।

সরেজমিনে প্রকল্প এলাকায় দেখা যায়, উজান থেকে আসা পানি রাবার বাঁধের মাধ্যমে ধরে রাখা হয়েছে। বাঁধের উজানে সোলার ইরিগেশন পাম্পিং সিস্টেম নান্দনিক এ দৃশ্য দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন লোকের সমাগম হয়। এলএলপি পাম্প বসিয়ে নদীর দুই তীরের কৃষক আবাদ করছেন বোরোসহ শাক-সবজি।
কৃষকরা বলছেন, প্রকৃতির পানিতে যেমন ভরে উঠেছে নদী, তেমনি সেতু ও সড়ক নির্মাণ হওয়ায় কষ্ট লাঘব হয়েছে যোগাযোগে। এতে কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম মিলছে। পরিবর্তন ঘটেছে জীবনযাত্রায়।

প্রকল্পের পাম্প হাউজের দায়িত্বে থাকা মন্টু মিয়া জানান, সোলার পাম্পের সাহায্যে ছয় ঘণ্টা চালানো যায়, এটা যদি দশ ঘণ্টা চালানো যায় তাহলে আরো বেশী কৃষকের জমি সেচের আওতায় আনা যেত।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (ক্ষুদ্র সেচ) শেরপুরের সহকারী প্রকৌশলী মো. মেহেদী আল বাকী জানান, এই প্রকল্পের আওতায় ১০টি ডিজেল চালিত, ৮টি বৈদ্যতিক মর্টার ও ১টি পাম্প হাউজের মাধ্যমে ভূ-উপরিস্ত পানির মাধ্যমে একটি পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে প্রায় এক হাজার কৃষক সেচ সুবিধা পাচ্ছে।

সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *