হবিগঞ্জে বাড়ছে ‘গরিবের খাবারের’ কদরহবিগঞ্জে বাড়ছে ‘গরিবের খাবারের’ কদর

নিউজ ডেস্কঃ
হাওরের পানিতে অযত্নে বেড়ে ওঠা সবজি শালুক। পুষ্টিগুণ জেনেই এ সবজির দিকে ঝুঁকে পড়ছেন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা। তাই দিন দিন শালুকের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি শালুক বিক্রি করেই হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন।
স্থানীয় বাজারগুলোতে শালুক বেশ চাহিদা রয়েছে। জেলার শহর ভেদে সবজিটির দামও ভিন্ন। তবে বাজারে বা ফুটপাতে প্রতিকেজি শালুক ৭০ থেকে ৮০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে উৎপাদনের খরচ নেই, শুধু কষ্ট করে পানি থেকে সংগ্রহ করতে পারলেই উপার্জন করা যায়। আর সংগ্রহকারীদের থেকে কিনে তা দিগুণ দামে বিক্রি করছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। সেজন্য হাওর এলাকার মানুষ শালুক সংগ্রহ করতেও আগ্রহী।

জেলার লাখাইয়ের বুল্লা বাজারে শালুক বিক্রেতা জানু মিয়া বলেন, দিনে প্রায় ৫০ কেজি শালুক খুচরা বিক্রি করতে পারি। তবে আমনের আবাদ বেড়ে যাওয়ায় শালুকের উৎপাদন কমে গেছে। তবে এখনো লাখাই উপজেলার পাঁচটি হাওরের পানিতে প্রচুর শালুক পাওয়া যায়।

তিনি আরো বলেন, শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ দলবদ্ধভাবে হাওর থেকে শালুক সংগ্রহ করে। তাদের কাছ থেকে ৩০ টাকা দরে প্রতিকেজি শালুক কিনে নেই। এরপর সিদ্ধ দিয়ে ৭০ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি করি। গত ১০ বছরে শালুক বিক্রির মাধ্যমে চার সদস্যের পরিবার চালানোর পাশাপাশি কিছু জমিও কিনেছি।

শুধু লাখাই উপজেলায়ই নয়, হবিগঞ্জ সদর, বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ, নবীগঞ্জ এবং বাহুবল উপজেলার বিভিন্ন হাওরে এখনো শালুক পাওয়া যায়। জেলা শহরের বাজারগুলোর ফুটপাতে শালুক বিক্রি করেন অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

এ ব্যাপারে লাখাইয়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমিত ভট্টাচার্য্য বলেন, এক সময় হাওরে ব্যাপকভাবে শালুক উৎপাদন হতো। তবে আমনের আবাদ বেড়ে যাওয়ায় এখন তা কমে গেছে। সরকারিভাবে একবার বাণিজ্যিকভিত্তিতে শালুক চাষের উদ্যোগ নিলেও পরে এর অগ্রগতি হয়নি। তবে শালুক উৎপাদ বাড়াতে পারলে ব্যাপক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রয়েছে।

পুষ্টিবিদদের মতে, শালুক অত্যন্ত উপকারী সবজি। এটি কাঁচা, সিদ্ধ করে ও পুড়িয়ে খাওয়া সম্ভব। শরীরে খাদ্যশক্তির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সবজিটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়া চুলকানি ও রক্ত আমাশয় নিরাময়ে শালুক বেশ উপকারী।

সুত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *