নিউজ ডেস্কঃ
হলুদ চাষির লাভ বেশিহলুদ চাষির লাভ বেশি মসলা জাতীয় ফসল হলুদ চাষেও লাভ বেশি। তবে এবার দফায় দফায় বন্যা ও বৃষ্টিপাতের ফলে কৃষি সেক্টরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার পরেও অন্যন্য ফসলসহ মসলা জাতীয় ফসল হলুদ চাষে করে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা হলুদ চাষিদের। স্বল্প খরচে লাভ বেশি। এ কারণেই হলুদ চাষে ঝুঁকছেন কুড়িগ্রামের কৃষকরা। জেলার ৯টি উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর ব্যাপক পরিমাণ হলুদের চাষ করতে দেখা গেছে।
জেলার অনেক স্থানে দেখা গেছে, পরিত্যক্ত জমি ও বাড়ির পাশে অন্য ফসলি জমির পাশাপাশি অনেক কৃষক জমিতে হলুদ চাষ করছেন।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যে সমস্ত জমিতে রোদ পড়ে না, পরিত্যক্ত থাকে, গাছপালা আছে অন্য কোন আবাদ ভালো হয় না। এই জমিগুলোতে হলুদ চাষ করা হয়ে থাকে। তবে হলুদ পরিচর্যা ঠিক মতো না করলেও হলুদ ভালো হয়। জমিতে হলুদ বপন করে পরিপক্ক হতে প্রায় ১ বছরের মতো সময় লাগে। এক বিঘা জমিতে ৩ মন হলুদ চাষ করলে সবমিলে ব্যয় হয় ৮-১০ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে ৫০ মণ পর্যন্ত হলুদ পাওয়া যায়। বাজার ভালো দাম থাকলে ৮ শ-১০০০ টাকা মণ বিক্রি করা যায়। বাংলার ফাল্গুন থেকে চৈত্র মাসে হলুদের বীজ বপন করা হয়।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জেলার ৯টি উপজেলায় আনুমানিক ২৫০ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ করা হয়েছে।
এক বিঘা জমিতে ৩ মন হলুদ চাষ করলে সবমিলে ব্যয় হয় ৮-১০ হাজার টাকা
সদরের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের খালিসা কালোয়া গ্রামের কৃষক একাব্বর আলী জানান, জমি থেকে আমার বাড়ি একটু দূরে ঠিক দেখাশুনা করতে পারি না। তাই গত দুই বছর থেকে হলুদ চাষ করছি। হলুদে তেমন গরু ছাগল ক্ষতি করতে পারে না। তবে হলুদ চাষেও লাভ ভালো পাচ্ছি। এক বিঘা জমিতে হলুদ চাষ করছি খুব ভালো হয়েছে। আসা করছি ভালো দামও পাবো।
ওই ইউনিয়নের কৃষক শ্রী কমল ও মিতুন বলেন, হলুদ চাষে একটু সময় বেশি লাগে তাছাড়াও খরচ খুবই কম। আমাদের জমিতে গাছপালা থাকায় অন্য কোন ফসল ভালো হয় না। হলুদটা ভালোই হয়। কৃষি বিভাগ থেকে যদি আরও পরামর্শ দেয়া হতো তাহলে আমরা আরও বড় পরিসরে চাষ করতাম।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, যেহেতু হলুদ একটি মসলা জাতীয় ফসল, হলুদের নানান গুনাগুন আছে আমরা সবাই জানি। হলুদের দামও অনেক বেশি, তবে এখান কার কৃষকরা হলুদ চাষ করতে আগ্রহী কম।
সুত্রঃ বার্তা২৪.কম