হিমাগারের ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদ আলু চাষিদেরহিমাগারের ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদ আলু চাষিদের

৭২ ঘণ্টার মধ্যে হিমাগারের বাড়তি ভাড়া প্রত্যাহার করে ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণ করা না হলে সড়ক অবরোধসহ লাগাতার কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন আলু চাষিরা।

রোববার সকালে দিনাজপুর ও কুড়িগ্রামে মানববন্ধন থেকে চাষিরা এই হুঁশিয়ারি দেন।

দিনাজপুর

বীরগঞ্জ থানার সামনের সড়কে রোববার দুপুরে দিনাজপুর আলু চাষি ও আলু ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে এই মানববন্ধনে কয়েকশ চাষি ও ব্যবসায়ী অংশ নেয়।

দিনাজপুর আলু চাষি ও আলু ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক অভিযোগ করে বলেন, হিমাগার মালিকরা তাদের ইচ্ছামতো ভাড়া নির্ধারণ করছে। গত বছর ৭০ কেজি ওজনের বস্তাপ্রতি ভাড়া ছিল ২৫০ টাকা। এবার ৫০ কেজি বস্তার ভাড়া নির্ধারণ করেছে ২৬০ টাকা।

এটা শোষণ ছাড়া আর কিছুই না মন্তব্য করে সভাপতি বলেন, “৭২ ঘণ্টার মধ্যে হিমাগার মালিকরা সমঝোতায় না এলে সড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।“
দিনাজপুর আলু চাষি ও আলু ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুবেল ইসলাম বলেন, হিমাগার ভাড়া কমিয়ে বস্তাপ্রতি ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। অন্যথায় হিমাগারগুলোর সামনে কৃষকরা অবস্থান নিবে এবং আলু প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন আলু ব্যবসায়ী মোখলেছুর রহমান, আলু চাষি আল মামুন; দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকারিয়া জাকা, সাধারন সম্পাদক নুর ইসলাম নুর।

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম জেলা আলু চাষি ও আলু ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে রোববার সকালে সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী বাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধও করেন। পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বরাবর স্মারকলিপি দেন চাষিরা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, এর আগে ৬৫ কেজির বস্তার মূল্য নির্ধারণ করা ছিল ২৬০ টাকা। এবারে কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন ও রংপুর বিভাগীয় অ্যাসোসিয়েশন বস্তায় ১৫ কেজি আলু কমিয়ে ৫০ কেজি বস্তার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬০ টাকা। প্রতি কেজি আলুর ভাড়া ছিল আগে চার টাকা। এবার প্রতি কেজির ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ টাকা ২০ পয়সা। আলু চাষি ও আলু ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির দাবি প্রতি কেজি আলুর ভাড়া এক টাকা কমিয়ে তিন টাকা নির্ধারণ করা হোক।
সমিতির নেতা আলী ব্যাপারী বলেন, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাটসহ অন্যান্য জেলায় ৬৫-৭০ কেজি আলুর বস্তা সংরক্ষণের বিপরীতে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা সর্বোচ্চ ভাড়া আদায় করা হয়। হঠাৎ করে কুড়িগ্রাম জেলায় ভাড়া বৃদ্ধি করায় কৃষকরা শুধু ক্ষতিগ্রস্তই হবে না; তারা আলু চাষে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বে।

আবুল কাশেম দুলাল বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিরূপ আবহাওয়ার কারণে কুড়িগ্রামের আলু চাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও উল্টো ভাড়া বৃদ্ধি করায় বিপাকে পড়েছে।

সুত্রঃবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *