নিউজ ডেস্কঃ
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সারা দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৫৯টি বিভাগের অধীনে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এলাকাজুড়ে মোট ১০ লাখ গাছের চারা রোপণ করা হবে। আজ থেকে এ কর্মসূচি শুরু হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য, প্রশাসন, গণমাধ্যম কর্মী, সুশীল সমাজ, স্কাউটস এবং মুক্তিযোদ্ধাদের এ কর্মসূচিতে যুক্ত করা হবে। গতকাল দুপুরে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, মুজিব বর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ সংস্থার অফিস প্রাঙ্গণ, আওতাধীন জমি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়ন প্রকল্পের খাল-নদীর তীর ও অন্যান্য ফাঁকা জায়গায় বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছ রোপণের কর্মসূচি নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বনায়ন ও সবুজবেষ্টনীর লক্ষ্যে এক কোটি চারা রোপণ কর্মসূচি চালু হয়েছে। তিনি দেশে মোট বনভূমি ২৫ শতাংশে উন্নীত করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
কর্মসূচির গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি গাছ সারা জীবনে কমপক্ষে ২ দশমিক ৫ লাখ টাকার ভূমিক্ষয় রোধ করে। উপকূলীয় এলাকায় দেখা যায়, সব দুর্যোগে যেখানে গাছ আছে সেখানে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়। বাঁধ টেকসই করতে বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই।
এর আগে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, নির্ধারিত ১৫-২০ দিনের মধ্যেই ১০ লাখ চারা রোপণের লক্ষ্য আমরা পূরণ করতে পারব। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এ চারা রোপণ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এ কর্মসূচি সফল করতে আমাদের তৃণমূল পর্যায়ে নির্দেশনা দেয়া আছে।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, আমরা বন বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে জেলা পর্যায়ে ভূ-প্রকৃতি, পরিবেশ, প্রতিবেশ, বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে নির্ধারিত প্রজাতির চারা রোপণ করব। কারণ সব এলাকায় সব চারা বাঁচবে না। আজ থেকে শুরু হয়ে মাসব্যাপী চালু থাকবে আমাদের প্রোগ্রাম। ১১-১৪ আগস্ট এবং ২৭-৩০ আগস্ট এ দিনগুলো আমরা সবাইকে সম্পৃক্ত করে উৎসবমুখর পরিবেশে কাজ করব।
সুত্রঃ বনিক বার্তা