১৪০ বিঘা জমির বাদাম নষ্ট হচ্ছে পানিতে১৪০ বিঘা জমির বাদাম নষ্ট হচ্ছে পানিতে

নিউজ ডেস্কঃ

হঠাৎ পদ্মার পানি বেড়ে যাওয়ায় রাজবাড়ীর চরাঞ্চলের শতাধিক বিঘা জমির বাদাম গাছ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে আর্থিক ভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন বাদাম চাষিরা। কৃষকরা এখন পানিতে তলিয়ে যাওয়া বাদাম তুুলছেন। তবে তলিয়ে যাওয়া বাদাম কালো হয়ে আছে। এ ছাড়া বাদাম তুলে নৌকা বা ট্রলারে করে পাড়ে আনতে বাড়তি খরচ হচ্ছে। দ্রুত গাছ থেকে বাদাম ছাড়িয়ে রোদে শুকাতে না পাড়লে পচে যাবে।

জানা যায়, চাষিরা বছরে দুই বার বাদাম চাষ করে। কম খরচ ও সামান্য পরিচর্যায় ভালো ফলন পাওয়া যায়। এ জেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে ব্যাপক আকারে বারি, বিনা ও স্থানীয় কয়েকটি জাতের বাদাম চাষ করা হয়। খরচের তুলনায় দাম ভালো বলে কৃষকরা প্রতিবছর বাদাম চাষ করেন। কিন্তু এ বছর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তারা বিপাকে পড়েছেন।

জানা গেছে, সদরের মিজানপুর, খানগঞ্জ, বরাট, গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম, ছোট ভাকলা, উজানচর, কালুখালীর কালিকাপুর, রতনদিয়া, পাংশার হাবাসপুর ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে বাদাম চাষ হয়। বিঘায় ১০-১২ হাজার টাকা খরচে মাত্র তিন মাসে ফলন পাওয়া যায়। প্রতি বিঘায় ৭-৮ মণ ফলন পান তারা। যা পাইকারি প্রতিকেজি ৬০-৬৫ টাকা।

দৌলতদিয়ার বাদাম চাষি আক্কাস মন্ডল ও হাসেম মন্ডল জানান, তারা ৫০ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। সব মিলিয়ে প্রতিবিঘায় খরচ হয়েছে ১০-১৫ হাজার টাকা। বাদাম এখন তোলার সময়। ঠিক সেই মুহূর্তে জোয়ারের পানিতে ক্ষেত তলিয়ে গেছে। শুকনো অবস্থায় বাদাম তুলতে পারলে অনেক লাভ হতো। এখন উল্টা লোকসান হবে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন সেক বলেন, ‘বাদাম একটি লাভজনক ফসল। কিন্তু বাদাম তলিয়ে যাওয়ায় চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কয়েকদিন পানির নিচে থাকলে এবং অপরিপক্ক বাদাম তুললে, তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক গোপাল কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘এ বছর রাজবাড়ীতে ৬৩৫ হেক্টর বাদামের আবাদ হয়েছে। তবে জোয়ারের পানিতে চরাঞ্চলের জমির বাদাম তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ২২ হেক্টর অর্থাৎ ১৪০ বিঘা জমির বাদাম নষ্ট হয়েছে।’

সুত্রঃ জাগো নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *