২৫ লাখ পশু কম কোরবানি হয়েছে২৫ লাখ পশু কম কোরবানি হয়েছে

নিউজ ডেস্কঃ
এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য সারাদেশে যে পশু প্রস্তুত করা হয়েছিল সেখান থেকে ২৫ লাখ পশু কম কোরবানি হয়েছে। আর গত বছরের তুলনায় ১২ লাখ পশু কম কোরবানি হয়েছে। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় ইচ্ছে থাকলেও অনেক পরিবার কোরবানি দিতে পারেনি এবার।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, এবার কোরবানির জন্য এক কোটি ১৯ লাখ পশু প্রস্তুত করা হয়েছিল। এর মধ্যে কোরবানি হয়েছে ৯৪ লাখ।

অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলেন, এবার ধরা হয়েছিল এক কোটি ১০ লাখ পশু কোরবানি হবে। গত বছর কোরবানি হয়েছিল এক কোটি ৬ লাখ।
এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটে সুস্থ-সবল গবাদি পশু সরবরাহ ও বিক্রয় নিশ্চিতে গত ৯ জুলাই আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার কার্যপত্রে বলা হয়, গত বছর (২০১৯ সাল) হৃষ্টপুষ্টকরণের আওতায় কোরবানির জন্য সারাদেশে গবাদি পশুর সংখ্যা ছিল মোট এক কোটি ১৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৩টি। এ বছর (২০২০) মাঠ পর্যায়ের রিপোর্ট অনুযায়ী কোরবানিযোগ্য মোট পশুর সংখ্যা এক কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি। এর মধ্যে গরু ও মহিষ ৪৫ লাখ ৩৮ হাজার, ছাগল ও ভেড়া ৭৩ লাখ ৫৫ হাজার ও অন্যান্য চার হাজার ৫০০টি। এ বছর গবাদিপশুর পর্যাপ্ত জোগানের বিষয়টিও কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের প্রাণিসম্পদ অর্থনীতিবিদ ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার বলেন, ‘এবার সারাদেশে মোট পশু কোরবানি হয়েছে ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩টি। এর মধ্যে গরু ও মহিষ রয়েছে ৫০ লাখ ৫১ হাজার ৯৬৮টি। ছাগল, ভেড়া ৪৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫৩০টি। আর উট, দুম্বা, গাড়লসহ অন্যান্য পশু ছিল এক ৭৬৫টি।’

তিনি বলেন, প্রতি বছরই কোরবানির হার বাড়ে। কিন্তু এবার কমেছে। বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট ভয়াবহ দুর্যোগ করোনার কারণে অনেক মানুষ এবার কোরবানি দিতে পারেনি। যে কারণে গত বছরের চেয়ে প্রায় ১২ লাখ কোরবানি কম হয়েছে।

গাইবান্ধার গরু ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ বলেন, এবার করোনার শুরু থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল কোরবানির সংখ্যা কমবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে বর্তমানে যে পশু লালন-পালন হয় তা কোরবানির চাহিদার জন্য তা যথেষ্ট। এবারও তাই ছিল। সরকারও বলেছিল, ভারতীয় গরু বাংলাদেশে আসবে না। কিন্তু ঠেকাতে পারেনি। চোরাইপথে, বানের পানিতে ভেসে অনেক পথে গরু এসেছে বাংলাদেশে। এসব গরু না এলে এ দেশের খামারিরা আরও গরু বিক্রি করতে পারতেন।’

‘করোনার কারণে কোরবানির পশু নিয়ে বিশেষ করে ছোট খামারিরা অনেক নাকানি-চুবানি খেয়েছেন। ভারতীয় গরু আসার কারণে ছোট খামারিরা ন্যায্যমূল্য পাননি। তাছাড়া বানের (বন্যা) কারণে অনেকে গরু হাটেও ঠিকমতো তুলতে পারেননি। এতে অনেক ছোট খামারি কম দামে গরু বিক্রি করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন’-যোগ করেন গরু ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ।

সুত্রঃ পিবিএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *