৪ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির শঙ্কা৪ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির শঙ্কা

যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল হয়েছে, এরপরই কমতে শুরু করবে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি কমছে। পদ্মার পানি বাড়ার ধারা অব্যাহত রয়েছে।

উত্তরাঞ্চলের চার জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও মধ্যাঞ্চলের চার জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। একই সঙ্গে উত্তর-মধ্যাঞ্চলের চারটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণকেন্দ্র বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর অবস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ১৩টি জেলা বন্যা আক্রান্ত বলেও জানিয়েছে পূর্বাভাস কেন্দ্র।

প্রতিবেদনে নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমছে, অন্যদিকে যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত উভয় নদ-নদীর পানি কমতে পারে।

গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, পানি বাড়ার এ ধারা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি কমছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর এবং বগুড়া জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে; উত্তর-মধ্যাঞ্চলের টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা এবং মানিকগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে; অন্যদিকে মধ্যাঞ্চলের রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ এবং শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, বর্তমানে দেশের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, পাবনা, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও শরীয়তপুর- দেশের এই ১৩টি জেলা বন্যা আক্রান্ত। বর্তমানে ৯টি নদীর পানি ২১টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীগুলো হলো- ধরলা, ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, তুরাগ, কালিগঙ্গা, পদ্মা, আত্রাই ও ধলেশ্বরী।

পদ্মা নদীর পানি সুরেশ্বর, মাওয়া, ভাগ্যকুল ও গোয়ালন্দ পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে।

যমুনা নদীর পানি নয়টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপরে রয়েছে। আরিচা, মথুরা, পোড়াবাড়ি, সিরাজগঞ্জ, কাজিপুর, সারিয়াকান্দি, বাহাদুরাবাদ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি স্টেশনে যমুনার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে।

এছাড়া ধরলার পানি কুড়িগ্রাম, ঘাঘটের পানি গাইবান্ধা, ব্রহ্মপুত্রের পানি হাতিয়া ও চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আত্রাই নদীর পানি বাঘাবাড়ী, ধলেশ্বরীর পানি এলাসিন, তুরাগের পানি কালিয়াকৈর এবং কালীগঙ্গার পানি তারাঘাটে বিপৎসীমার উপরে বইছে।
সুত্রঃ jago news

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *