নিউজ ডেস্কঃ
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছ থেকে দেশের ৬৯টি শস্য গুদামের মালিকানা পেয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
এই মালিকানা বদলাতে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে কক্ষে এই অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রংপুর, শেরপুর, মাগুরা ও বরিশাল অঞ্চলের ২৭টি জেলার ৫৬ উপজেলায় ৮১টি গুদাম পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১২টি গুদাম কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নিজস্ব এবং অন্যগুলো স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছ থেকে বার্ষিক ভাড়ার ভিত্তিতে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ওই ৬৯টি খাদ্য গুদামের মালিকানা হস্তান্তরের জন্য প্রস্তাব পাঠালে স্থানীয় সরকার বিভাগ তাতে সম্মতি দেয়। সে বিষয়েই বৃহস্পতিবার সমঝোতা স্মারক হল।
প্রতিটি গুদামের গড় ধারণ ক্ষমতা ২৫০ মেট্রিক টন। বছরে গড়ে ৪ হাজার ৩৬৫ জন কৃষক এসব গুদামে ৪ হাজার ৯২১ মেট্রিক টন শস্য জমা রাখতে পারেন। ফসল জমা রাখার বিপরীতে বছরে তাদের মোট ৬০৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়। পরে জমা রাখা শস্য বিক্রি করে তারা সেই ঋণ শোধ করতে পারেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, মজুদ করতে না পারায় কৃষককে কম দামে ধান বিক্রি করে দিতে হয়। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই ১৯৭৮ সালে চিন্তা করা হয়েছিল, ধান বিক্রি না করে কৃষক যাতে কিছুদিন ধরে রাখতে পারে। সেজন্যই গুদাম প্রয়োজন।
“শুধু ৬৯টি নয়, সারাদেশেই আমাদের খাদ্য গুদাম করতে হবে। আমরা দাবি করছি আমরা ‘কৃষি বান্ধব’, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।”
শস্য গুদামের মালিকানা হস্তান্তর প্রসঙ্গে রাজ্জাক বলেন, “সবাই সম্রাজ্য বাড়াতে চায়। কিন্তু স্থানীয় সরকার বিভাগ খুব সহজেই ৬৯টি গুদাম হস্তান্তর করেছে এবং কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করার জন্য জমি দিচ্ছে। আমি তাদের ধন্যবাদ দিচ্ছি। এটা দিয়ে আমাদের শুরু। আমরা এই প্রকল্পকে আরও সম্প্রসারিত করব।”
সুত্রঃবিডিনিউজ