আরও ৯০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে দেশি-বিদেশি তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০ হাজার টন করে ইউরিয়া কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
দেশে সম্প্রতি টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সারের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেও ইউরিয়ার দাম ঠিক রয়েছে।
মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন জানান, জি টু জি পদ্ধতিতে কেনা হবে এসব সার।
প্রতি মেট্রিক টন ৯৬১ দশমিক ১৭ মার্কিন ডলার দরে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সরবরাহ করবে আরব আমিরাতের পার্টি গ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড। এক্ষেত্রে মোট খরচ পড়বে ২৪৭ কোটি ৫৪ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৫ টাকা।
প্রতি টন ৮৯৩ দশমিক ৬২৫ ডলার দরে একই পরিমাণ ইউরিয়া সরবরাহ করবে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি। এক্ষেত্রে মোট খরচ ধরা হয়েছে ২৩১ কোটি ৪৪ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ টাকা।
প্রতি টন ৯৬৪ দশমিক ৮৩ মার্কিন ডলার দরে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সরবরাহের কাজ পেয়েছে কাতারের কেমিকেল অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম করপোরেশন। এই লটে মোট খরচের অঙ্ক ২৪৮ কোটি ৪৯ লাখ ১৯ হাজার ৬৬৫ টাকা।
দেশে বছরজুড়ে যত রাসায়নিক সার ব্যবহৃত হয়, তার অর্ধেকই ইউরিয়া সার। নন-ইউরিয়া সারগুলো শুকনো মওসুমে ফসলের মাঠ প্রস্তুতের সময় ব্যবহৃত হয়। আর ইউরিয়া সার ব্যবহার করা হয় ফসলের বাড়ন্ত সময়ে।
তিন রকম সারের মূল্য বৃদ্ধির অভিযোগের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এর আগে জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরে ইউরিয়া সারের তিন লাখ এক হাজার ৯০২ টন চাহিদার বিপরীতে মজুদ রয়েছে ৮ লাখ ৩২ হাজার টন।
ইউরিয়া সার কেনার তিনটি প্রস্তাবের বাইরে আরও ১২টি প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সোমবারের বৈঠকে অনুমোদন পায়।
বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অনুমোদিত এই ১২ প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১৬ হাজার ৬২০ কোটি ৮৭ লাখ ৯৫ হাজার ৫৯৮ টাকা।
এর মধ্যে সরকারি উৎস থেকে ৮ হাজার ১০৭ কোটি ৭৯ লাখ ৪ হাজার ৪৫৯ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক, এডিবি, আইটিএফসি ও জাইকা হতে ঋণ হিসাবে আসবে ৮ হাজার ৫১৩ কোটি ৮ লাখ ৯১ হাজার ১৩৯ টাকা।
সুত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম